প্রকাশিত: Tue, Mar 5, 2024 12:48 AM
আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 3:14 PM

[১] টুইন পিক ভবনের রুফ টপ রেস্তোরাঁ ভেঙে দিলো রাজউক [২] ১০ রেস্তোরাঁ ও কেয়ারি প্লাজা সিলগালা

মাসুদ আলম: [৩] অনুমোদনহীন ও নকশাবহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা ধানমন্ডির সাতমসজিদ সড়কের গাউসিয়া টুইন পিকে ভবনের রুফ টপ রেস্তোরাঁ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওই ভবনের ১৪টি রেস্তোরাঁ রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি সিলগালা করে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। অন্য ৪  রেস্তোরাঁর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সোমবার সকালে রাজউকের অঞ্চল-৩ এর পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার এই অভিযান পরিচালনা করেন। তবে অভিযানের খবরে আগেই ভবনের রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ ছিল। অভিযানে স্পাইস হারবস নামের একটি রেস্তোরাঁকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত বছরের ২৩ মে রাজউক এই ভবন পরিদর্শনে এসে নোটিশ দিয়েছিল।

[৪] নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার বলেন, টুইন পিকে রুফ টপের রেস্তোরাঁটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এছাড়া ১৪ রেস্তোরাঁর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবনটিতে এফ-১ এর অনুমোদন ছিল। অর্থাৎ ভবনটি অফিস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু রেস্তোরাঁ হিসেবে নয়। এ ছাড়া কোনো রেস্তোরাঁই ব্যবসার জন্য জেলা প্রশাসনের অনুমোদন নেয়নি। যেসব ভবন সিলগালা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলোর আদেশ ঢাকা জেলা প্রশাসনে বরাবর পাঠানো হবে। তারা পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেবে। এ অভিযান চলমান থাকবে।

[৫] স্পাইস হারবস রেস্তোরাঁর  মালিক রাইসুল আলম খান বলেন,  রেস্টুরেন্ট করা যাবে না তা জানতাম না। জেলা প্রশাসনের অনুমোদনও জানা ছিল না। বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে রেস্তোরাঁ করেছি। আমাদের দোষটা কোথায়?  এখন আমরা কি করব? '

[৬] গাউসিয়া টুইন পিকের ডেভেলপার কর্তৃপক্ষের লজিস্টিক ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, স্থপতি যেভাবে ভবন নকশা করেছেন সেভাবেই চলছে।  তারা বাণিজ্যিক হিসেবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে রেস্তোরাঁর অনুমোদন নিয়েছেন।  তবে সেখানে রাজউকের নকশার শর্ত ছিল। রাজউক এফ-১ এর অনুমোদন দেয়।  সারা ঢাকায় এফ ১ হলেও রেস্তোরাঁ করা যায় সেটা স্থপতিই বলেছেন।

[৭] কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের পর গাউসিয়া টুইন পিক ভবনের স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ ফেসবুকে জানান, মালিকপক্ষের অবহেলায় ভবনটিতে ত্রুটি রয়েছে। তিনি জনসাধারণকে ভবনটিতে না যাওয়ার আহ্বান জানান।

[৮] এছাড়া সাতমসজিদ সড়কের পাশের কেয়ারি ক্রিসেন্ট প্লাজায় অভিযান চালান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। ১৫ তলা ওই ভবনে নিচ তলায় দোকান ও দ্বিতীয় তলায় ভিসা প্রসেসিংয়ের অফিস। বাকি ১২টি তলায় রেস্তোরাঁ রয়েছে। অগ্নিনিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে ভবনটি সিলগালা করা হয়। 

[৯] নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিষ্ঠানটি নিয়ম বহির্ভূতভাবে ইন্টেরিয়র ডিজাইন করেছে। ভিসা প্রসেসিং অফিস থেকে ৩ জন কর্মীকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন। সেই টাকা পরিশোধ করলে তাদেরকে মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। 

[১০] তিনি আরও বলেন, ভবনের রেস্তোরাঁগুলোয় কোনো মালিক বা কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। ভবনের দুটো সিঁড়ি; তার একটি বন্ধ, ব্যবহার উপযোগী না। সেখানে গ্যাসের সিলিন্ডার রাখা। ছাদও বন্ধ, দুর্ঘটনা ঘটলে কেউ সেখানে যেতে পারবে না।   অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় ভবনটি  সিলগালা করা হয়। 

[১১] ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম বলেন, এখানে ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। তাই ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব